Structure and Curricular System According to Secondary Education Commission (1952-53) ?

মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের মতে মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো এবং মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম কেমন হবে ?
উঃ- মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতি ও পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে যে সকল সুপারিশগুলি করেছিলেন তাদের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য সুপারিশ ছিল মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম সম্পর্কে।

মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো সম্পর্কে কমিশনের সুপারিশঃ-
কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো সম্পর্কে সুপারিশ করেছেন যে, বিদ্যালয়ের শিক্ষাকাল হবে ১১ বছরের। এই ১১ বছরের মধ্যে প্রথম ৪ বছর হবে প্রাথমিক শিক্ষার কাল, পরের ৪ বছর হবে নিম্ন মাধ্যমিক
শিক্ষার কাল এবং শেষের ৩ বছর হবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার কাল।
অথবা, ১১ বছরের বিদ্যালয় শিক্ষার মধ্যে প্রথম ৫ বছর হবে নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষার কাল, পরের ৩ বছর হবে উচ্চ বুনিয়াদি শিক্ষার কাল এবং শেষের ৩ বছর হবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার কাল।

মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম সম্পর্কে কমিশনের সুপারিশঃ-
কমিশনের মতে মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম দুটি স্তরে বিভক্ত থাকবে। যথা- (A) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম এবং (B) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যক্রম।
(A) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমঃ-
নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে যে বিষয়গুলি পড়ানো হবে সেগুলি হল- ১) ভাষা, ২) সাধারণ বিজ্ঞান, ৩) সামাজিক বিজ্ঞান, ৪) গণিত, ৫) কলা ও সংগীত, ৬) হাতের কাজ, ৭) শিল্প শিক্ষা, ৮) শারীর শিক্ষা।
(B) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যক্রমঃ-
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম ৩ টি অংশে বিভক্ত থাকবে। যথা-
(i) আবশ্যিক বা মূল বিষয় সমূহ,
(ii) ঐচ্ছিক বিষয় সমূহ এবং
(iii) অতিরিক্ত বিষয়

(i) আবশ্যিক বা মূল বিষয় সমূহঃ-
আবশ্যিক বিষয় সমূহের মধ্যে থাকবে – (১) ভাষা- মতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা, একটি আধুনিক ভারতীয় ভাষা, একটি আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা; (২) সাধারণ বিজ্ঞান, (৩) সমাজ বিজ্ঞান, (৪) গণিত, (৫) হাতের কাজ।

(ii) ঐচ্ছিক বিষয় সমূহঃ-
ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যেকার বিষয়গুলি হল- (১) মানব বিদ্যা, (২) বিজ্ঞান, (৩) কারিগরি বিজ্ঞান, (৪) বাণিজ্য, (৫) কৃষি, (৬) চারুকলা, (৭) গ্রার্হস্থ্য বিজ্ঞান।

(iii) অতিরিক্ত বিষয় সমূহঃ-
উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলির মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা আরো একটি বিষয়কে অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে বেছে নিতে পারবে, যা বাধ্যতামূলক নয়।