Discuss the Significance of Classical Conditioning.

শিক্ষায় প্রাচীন অনুবর্তনের গুরুত্ব আলোচনা কর।
উঃ- শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে শিশুর শিক্ষায় এই প্রক্রিয়াকে সার্থক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে, শিশুর শিখন অনেক বেশী ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে।
প্রাচীন অনুবর্তন প্রক্রিয়া শিশুর ভাষা শিখন, অভ্যাস গঠন, কোন বিশেষ দক্ষতা অর্জন, কুঅভ্যাস দূর করা ইত্যাদি বিষয় গুলিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপরিউক্ত বিষয় গুলির ক্ষেত্রে, শিশুর শিখনে প্রাচীন অনুবর্তন কিভাবে কাজ করে তা নিচে উল্লেখ করা হল
১) শিশুর ভাষা শিখনঃ-
শিশুর ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের ভূমিকা অপরিসীম। শিশুকে ভাষা শেখানোর সময় নির্দিষ্ট শব্দের সঙ্গে যুক্ত নির্দিষ্ট বস্তুকে শিশুর সামনে উপস্থাপন করা হয় এবং শব্দটি শিশুকে শোনানো হয়। যেমন- শিশুকে দুধের বোতল দেখিয়ে যদি ‘দুধ’ শব্দটি বার বার বলা হয় তাহলে শিশু ‘দুধ’ শব্দটি শেখে। এইভাবে শিশু বহু শব্দ শিখে থাকে।
২) অভ্যাস গঠনঃ-
শিশুর আদর্শ অভ্যাস গঠনের ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন কৌশল বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন- সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা, নিয়মিত পড়তে বসা, ঠিক সময়ে পড়তে বসা, যেখানে সেখানে থুতু না ফেলা, দাঁত দিয়ে নখ না কাটা ইত্যাদি।
৩) দক্ষতা অর্জনঃ-
প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের মাধ্যমেই শিশু কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যেমন—শিশুর লেখা, পড়া ইত্যাদি শিখন দক্ষতা অর্জনে প্রাচীন অনুবর্তনের ভূমিকা অপরিসীম।
৪) কু-অভ্যাস দূর করাঃ—
প্রাচীন অনুবর্তন যেমন শিশুর মধ্যে সু-অভ্যাস গঠনে সাহায্য করে, ঠিক তেমনই শিশুর মধ্যে থাকা কু-অভ্যাস দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। যেমন- অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করা, মিথ্যা কথা বলা, লেখার সময় বানান ভুল করা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা ইত্যাদি কু-অভ্যাস দূর করতে সাহায্য করে প্রাচীন অনুবর্তন শিখন কৌশল।

সুতরাং, শিশুর শিক্ষায় তথা শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।