প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলের
বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ কর।
উঃ—থর্ণডাইকের প্রচেষ্টা ও
ভুলের শিখন কৌশলকে বিশ্লেষণ করলে এর কতকগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এই
বৈশিষ্ট্য গুলি হল—
প্রথমত, প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলে শিক্ষার্থীর সক্রিয়তার উপর বিশেষ গুরুত্ব
দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর নিজস্ব প্রচেষ্টা বা সক্রিয়তা ছাড়া এই কৌশলে শিখন কখনই
সম্ভব নয়।
সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়ত, এই শিখন কৌশলে প্রত্যেক প্রচেষ্টার শেষে শিক্ষার্থী শিখনের পথে কিছুটা
অগ্রসর হয়। অর্থাৎ, এই পদ্ধতিতে শিখন ক্রমবিকাশমান।
তৃতীয়ত, এই পদ্ধতিতে শিখতে হলে শিক্ষার্থীকে তার লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়।
যেমন- থর্ণডাইকের পরীক্ষায় বিড়ালটি বাক্সের বাইরে খাদ্য বস্তু প্রত্যক্ষ করেছিল
এবং সে তার লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন ছিল। এই সচেতনতা তাকে তার নিজের ভুল
প্রচেষ্টাগুলি পরিত্যাগ করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
চতুর্থত, প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল পুনরাবৃত্তি মূলক। এই শিখন কৌশলে যতক্ষণ
পর্যন্ত না সমস্যার সমাধান হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থী তার প্রচেষ্টা চালিয়ে
যেতে থাকে।
পঞ্চমত, প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলে কোন প্রতিক্রিয়া বর্জন করা হবে এবং কোন
প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা হবে তা প্রাপ্ত ফলের দ্বারা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে যে
প্রতিক্রিয়া সুখদায়ক সে প্রতিক্রিয়া গৃহীত হয় এবং যে প্রতিক্রিয়া বেদনাদায়ক সে
প্রতিক্রিয়া পরিত্যাক্ত হয়।
ষষ্ঠত, প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলে সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীকে সমস্যার
পরিপেক্ষিতে অনেকগুলি প্রতিক্রিয়া করতে হয়। এই সব প্রতিক্রিয়া গুলির মধ্যে যেগুলি
সমস্যা সমাধানের পক্ষে উপযুক্ত সেগুলিকে শিক্ষার্থী বেছে নেয় এবং বাকি গুলিকে পরিত্যাগ
করে।
সপ্তমত, প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলে শিক্ষার্থী যখন প্রথম প্রতিক্রিয়া করে, তখন
সে তার পূর্বের জানা একটি প্রতিক্রিয়া দিয়ে শুরু করে। অর্থাৎ, প্রচেষ্টা ও ভুলের
শিখন কৌশলে শিখন সবসময় একটি জানা অবস্থা থেকে শুরু হয়।