মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের মতে মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো এবং
মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম কেমন হবে ?
উঃ- মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতি ও
পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে যে সকল সুপারিশগুলি করেছিলেন তাদের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য
সুপারিশ ছিল মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম সম্পর্কে।
মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো সম্পর্কে কমিশনের সুপারিশঃ-
কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো সম্পর্কে সুপারিশ করেছেন
যে, বিদ্যালয়ের শিক্ষাকাল হবে ১১ বছরের। এই ১১ বছরের মধ্যে প্রথম ৪ বছর হবে
প্রাথমিক শিক্ষার কাল, পরের ৪ বছর হবে নিম্ন মাধ্যমিক
শিক্ষার কাল এবং শেষের ৩ বছর হবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার কাল।
শিক্ষার কাল এবং শেষের ৩ বছর হবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার কাল।
অথবা, ১১ বছরের বিদ্যালয় শিক্ষার মধ্যে প্রথম ৫ বছর হবে
নিম্ন বুনিয়াদি শিক্ষার কাল, পরের ৩ বছর হবে উচ্চ বুনিয়াদি শিক্ষার কাল এবং শেষের
৩ বছর হবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার কাল।
মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম সম্পর্কে কমিশনের সুপারিশঃ-
কমিশনের মতে মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম দুটি স্তরে বিভক্ত
থাকবে। যথা- (A) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম এবং (B) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে
পাঠ্যক্রম।
(A) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমঃ-
নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে যে বিষয়গুলি পড়ানো হবে
সেগুলি হল- ১) ভাষা, ২) সাধারণ বিজ্ঞান, ৩) সামাজিক বিজ্ঞান, ৪) গণিত, ৫) কলা ও
সংগীত, ৬) হাতের কাজ, ৭) শিল্প শিক্ষা, ৮) শারীর শিক্ষা।
(B) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যক্রমঃ-
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম ৩ টি অংশে বিভক্ত থাকবে।
যথা-
(i) আবশ্যিক বা মূল বিষয় সমূহ,
(ii) ঐচ্ছিক বিষয় সমূহ এবং
(iii) অতিরিক্ত বিষয়।
(i) আবশ্যিক বা মূল বিষয় সমূহঃ-
আবশ্যিক বিষয় সমূহের মধ্যে থাকবে – (১) ভাষা- মতৃভাষা বা
আঞ্চলিক ভাষা, একটি আধুনিক ভারতীয় ভাষা, একটি আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা; (২) সাধারণ
বিজ্ঞান, (৩) সমাজ বিজ্ঞান, (৪) গণিত, (৫) হাতের কাজ।
(ii) ঐচ্ছিক বিষয় সমূহঃ-
ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যেকার বিষয়গুলি হল- (১) মানব বিদ্যা, (২)
বিজ্ঞান, (৩) কারিগরি বিজ্ঞান, (৪) বাণিজ্য, (৫) কৃষি, (৬) চারুকলা, (৭)
গ্রার্হস্থ্য বিজ্ঞান।
(iii) অতিরিক্ত বিষয় সমূহঃ-
উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলির মধ্যে থেকে শিক্ষার্থীরা আরো একটি
বিষয়কে অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে বেছে নিতে পারবে, যা বাধ্যতামূলক নয়।